এইতো সেদিনের কথা।
সাদা স্কুল ইউনিফর্ম, মাথায় সাদা ফিতে, কালো বেলেরিনা, সাদা মোজা -উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রীটের লোহার গেটের ভিতর মা আমাকে দিয়ে উধাও। চার বছরের জীবনে সেই প্রথম মাকে ছেড়ে কয়েক ঘন্টা থাকা। ঠোঁট ফোলানো অভিমানে চোখের জলে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলাম আমারই মতো আরও অনেকের সাথে। তাদেরও চোখে জল। আমাদের মধ্যে কয়েকজন ছিল একটু ডাকা বুকো, দেবলীনার মত, তারা বেশ দিব্যি মানিয়ে নিয়েছিল নতুন পরিবেশে। আমি কিন্তু ছোটো থেকেই বেশ ভীতু-ভীতু। দেবলীনাই
তখন আমার একমাত্র চেনা মুখ। ওর হাত ধরেই দাঁড়িয়েছিলাম এমন সময় দেবলীনার হাত ছাড়িয়ে
আইরিনদি নিয়ে গেলেন KG-A এর ক্লাসরুমে। দেবলীনা – KG.C. ক্লাস টিচার আরতিদি। সেদিন
মায়ের ওপর নিশ্চয়ই অভিমান হয়েছিল-আজ বুঝি মা আমাকে তুলে দিয়েছিলেন আরেক মায়ের হাতে
- যিনি আমায় তৈরী করেছেন, প্রস্তুত করেছেন ভাবী জীবনের জন্য। জীবনে প্রতি মুহুর্তে
অনুভব করেছি আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমার স্কুল –আমার alma matter-আমার কুঁচো থেকে কচি
হয়ে ওঠার সাথী, আমার শৈশব থেকে কৈশোরের বেড়ে ওঠার দিনগুলোর আধার, আমার জীবনের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমার স্কুল,স্কুলের শিক্ষিকাদের
প্রতিদিনের শিক্ষা,আমার বন্ধুদের বন্ধুত্ব ও সাহচর্য আমার সারা জীবনের সম্পদ।
তাই আজ স্কুল শেষ করার ২৫ বছর পূর্তি
উপলক্ষ্যে কিছু লিখতে বসে ঘটনার ঘনঘটায় ভাষার
টানাপোড়েন ভাবিয়ে তুলেছে।
সাদা ফ্রক থেকে সাদা নীল টিউনিক আর অবশেষে সাদা সার্ট নীল স্কার্ট এ বেড়ে ওঠার রঙীন দিনগুলোয় আমার বা আমাদের ব্যক্তিত্ব ,চরিত্র এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য মা - বাবা ছাড়া আর যারা দিনের পর দিন অনলস পরিশ্রম করেছেন সেই শিক্ষিকাদের (দিদিদের),সিস্টারদের জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর মূল্যবোধ ছাড়া এই জীবনে চলা কোনোভাবেই সম্ভব ছিলনা।
1993 এর মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে যেদিন বেরোলাম সেদিন থেকে পরিচয় শুরু হোলো, ১নং অভেদানন্দ রোডের বাইরে যে অচেনা পৃথিবী আছে,তার সাথে।তখন থেকেই বুঝতে শুরু করেছিলাম আমরা আলাদা, আমরা স্বতন্ত্র।আমাদের জীবনদর্শন,আমাদের মূল্যবোধ -আমাদের ভাবনা-চিন্তা,আপোষহীন মনোভাব, নিরলস উদ্যম, দরিদ্র দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা - এসবই আমাদের স্কুলের অবদান। ছোট থেকে এই পরিবেশেই আমরা বেড়ে উঠেছি যে। বাস্তব জীবনের কঠোর সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়েও আমরা তাই হেরে যাই না - স্কুলের ছাত্রীদের ব্যক্তি জীবনে হোলি চাইল্ড ইনস্টিটিউট এক অহংকার-এক আদর্শ - এক অনাবিল আস্থা। আজ স্মৃতিচারণা তাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে-ইতি তো টানতেই হবে। আমাদের এই ‘ফিরে দেখা’র পর্বে অন্তরের আন্তরিক ভালবাসা জানাই আমার প্রিয় বন্ধুদের।
সাদা ফ্রক থেকে সাদা নীল টিউনিক আর অবশেষে সাদা সার্ট নীল স্কার্ট এ বেড়ে ওঠার রঙীন দিনগুলোয় আমার বা আমাদের ব্যক্তিত্ব ,চরিত্র এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য মা - বাবা ছাড়া আর যারা দিনের পর দিন অনলস পরিশ্রম করেছেন সেই শিক্ষিকাদের (দিদিদের),সিস্টারদের জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর মূল্যবোধ ছাড়া এই জীবনে চলা কোনোভাবেই সম্ভব ছিলনা।
1993 এর মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে যেদিন বেরোলাম সেদিন থেকে পরিচয় শুরু হোলো, ১নং অভেদানন্দ রোডের বাইরে যে অচেনা পৃথিবী আছে,তার সাথে।তখন থেকেই বুঝতে শুরু করেছিলাম আমরা আলাদা, আমরা স্বতন্ত্র।আমাদের জীবনদর্শন,আমাদের মূল্যবোধ -আমাদের ভাবনা-চিন্তা,আপোষহীন মনোভাব, নিরলস উদ্যম, দরিদ্র দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা - এসবই আমাদের স্কুলের অবদান। ছোট থেকে এই পরিবেশেই আমরা বেড়ে উঠেছি যে। বাস্তব জীবনের কঠোর সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়েও আমরা তাই হেরে যাই না - স্কুলের ছাত্রীদের ব্যক্তি জীবনে হোলি চাইল্ড ইনস্টিটিউট এক অহংকার-এক আদর্শ - এক অনাবিল আস্থা। আজ স্মৃতিচারণা তাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে-ইতি তো টানতেই হবে। আমাদের এই ‘ফিরে দেখা’র পর্বে অন্তরের আন্তরিক ভালবাসা জানাই আমার প্রিয় বন্ধুদের।
চল্ আজ আর একবার হারিয়ে যাই ফেলে আসা ‘Prayer Room’ এর সেই পবিত্র আলো আধাঁরিতে-কিংবা সেই কাঠের সিঁড়ির রেলিঙে দাঁড়িয়ে কখনো শেষ-না-হওয়া আড্ডায়। বন্ধু চল, ফিরে যাই আজ খো-খো- খেলার মাঠে,হজমি আর শুকতারার দিনগুলোয়,চল ফিরি সেই রূপকথার বিকেলে,শীতের মিঠে রোদ,গোলাপী কাগজ ফুল আর ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো’ গাওয়ার স্বপ্নিল সকালে॥
Its a twinge in our heart
far more powerful than
memory alone-
A feeling of a place
where we love to go again & again.
No comments:
Post a Comment