হোলি চাইল্ড ইনস্টিউট সম্বন্ধে আমাকে কিছু লেখবার জন্য অনুরোধ করেছে আমার মেয়ের বন্ধুরা।
আমি লিখতে পারিনা-তবুও স্মৃতিতে ভরপুর ঐ কয়েকটা বছরের কিছু কথা লিখতে ইচ্ছে করছে। এটা শুধু স্মৃতি রোমন্থন নয়-এটা ঐ স্কুল ঐ মাননীয় সিস্টাররা -যাঁরা আমাদের মেয়েদের সঠিকভাবে তৈরী করেছেন তাদের ভবিষ্যতের পথে চলবার জন্য-তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল কম বেশী ১৮ বছর আমার সাথে ঐ স্কুলের নিবিড় একটা সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। সংসার ধর্ম পালন না করেও স্নেহময়ী মায়ের ভূমিকা , বড় দিদির ভূমিকা নিয়ে নিরলস ভাবে শাসন , ভালবাসা ,তীক্ষ্ণ নজর দিয়ে -তাঁরা আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের পথ চলা যেভাবে তৈরী করে দিয়েছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।
পড়াশুনায় হয়তো সবাই প্রথম বা দ্বিতীয় হয়না কিন্তু জীবনের চলার পথে তারা যে নিয়মগুলো মেনে চলতে শিখেছে তার শিক্ষা স্কুল থেকেই পেয়েছে।
একটা ছোট্টো ঘটনা বলি-একবার আমার মেয়েদের নিয়ে ট্রামে করে যাচ্ছিলাম। কন্ডাক্টরের কাছ থেকে টিকিট নিয়ে ওরা ধন্যবাদ জানালো। ঐ কন্ডাক্টর ভদ্রলোক আমার কাছে জানতে চাইলেন "ওরা কি হোলি চাইল্ডে পড়তো"? আমার কেন প্রশ্নের জবাবে উনি বললেন "আমি দীর্ঘ দিন ঐ রুটে ছিলাম। ঐ পথে অনেক স্কুল আছে, কিন্তু একমাত্র হোলি চাইল্ডের মেয়েরাই টিকিট নিয়ে ধন্যবাদ জানাতো। শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। এই শিক্ষা তো ওরা
ওদের প্রিয় স্কুল থেকেই পেয়েছে। বাড়িতে আমাদেরও বাধ্য করাতো মাটিতে কাগজের টুকরো
বা অন্য কিছু না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে।
সিস্টাররা ওদের বাড়ির লোকের
থেকেও আপন ছিলেন। তাইতো বাড়ির অশান্তি বা মন খারাপ বা ভালো না লাগা সবকিছুই তাঁদের কাছে খুলে বলতো-এবং তার
সমাধানও পেতো। আপাত দৃষ্টিতে সিস্টাররা ছিলেন গাম্ভীর্যের আবরণে ঢাকা। ঐ ঢাকনা যে
খুলতে পারতো - দেখতো কি অফুরন্ত ভালোবাসা , স্নেহের
ভান্ডার সেটি। এটা শুধুমাত্র ছাত্রীদের কাছেই নয় অভিভাবকদের জন্যও। সিস্টার
নাটালিয়া গাম্ভীর্যের আড়ালে থাকতেই ভালোবাসতেন। অথচ কি তীক্ষ্ণ নজর ছিলো মেয়েদের
প্রতি। সিস্টার রোমানা আর সিস্টার অ্যান্জেলার সাথে আমার একটা সখ্যতাই গড়ে উঠেছিল
কিন্তু তার মধ্যে ছাত্রীদের কোনো ভূমিকা বা সুবিধাবাদিতা ছিলো না।
ছাত্রী থেকে উন্নীত হয়ে আমার মেয়ে ঐ স্কুলের
শিক্ষিকা হলো। নিজের শিক্ষিকারা এবং সিস্টাররা হলেন সহকর্মী। অপার ভালবাসা, সহমর্মিতা সব কিছুর মধ্যেও সম্ভ্রম বোধ- সেটা কিন্তু কেউ হারাননি। এটাই
হলো হোলি চাইল্ডের বৈশিষ্ট্য, হোলি চাইল্ডের শিক্ষা। আশা করি
স্কুল তার এই পরম্পরা নিয়ে আরো এগিয়ে যাবে।
ওদের প্রিয় স্কুল থেকেই পেয়েছে। বাড়িতে আমাদেরও বাধ্য করাতো মাটিতে কাগজের টুকরো
বা অন্য কিছু না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে।
সিস্টাররা ওদের বাড়ির লোকের
থেকেও আপন ছিলেন। তাইতো বাড়ির অশান্তি বা মন খারাপ বা ভালো না লাগা সবকিছুই তাঁদের কাছে খুলে বলতো-এবং তার
সমাধানও পেতো। আপাত দৃষ্টিতে সিস্টাররা ছিলেন গাম্ভীর্যের আবরণে ঢাকা। ঐ ঢাকনা যে
খুলতে পারতো - দেখতো কি অফুরন্ত ভালোবাসা , স্নেহের
ভান্ডার সেটি। এটা শুধুমাত্র ছাত্রীদের কাছেই নয় অভিভাবকদের জন্যও। সিস্টার
নাটালিয়া গাম্ভীর্যের আড়ালে থাকতেই ভালোবাসতেন। অথচ কি তীক্ষ্ণ নজর ছিলো মেয়েদের
প্রতি। সিস্টার রোমানা আর সিস্টার অ্যান্জেলার সাথে আমার একটা সখ্যতাই গড়ে উঠেছিল
কিন্তু তার মধ্যে ছাত্রীদের কোনো ভূমিকা বা সুবিধাবাদিতা ছিলো না।
ছাত্রী থেকে উন্নীত হয়ে আমার মেয়ে ঐ স্কুলের
শিক্ষিকা হলো। নিজের শিক্ষিকারা এবং সিস্টাররা হলেন সহকর্মী। অপার ভালবাসা, সহমর্মিতা সব কিছুর মধ্যেও সম্ভ্রম বোধ- সেটা কিন্তু কেউ হারাননি। এটাই
হলো হোলি চাইল্ডের বৈশিষ্ট্য, হোলি চাইল্ডের শিক্ষা। আশা করি
স্কুল তার এই পরম্পরা নিয়ে আরো এগিয়ে যাবে।
প্রথম বোর্ড পরীক্ষার রজত
জয়ন্তী উদযাপনে সমস্ত মেয়েদের জন্য রইল আমার অনেক শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদ।
জয়ন্তী উদযাপনে সমস্ত মেয়েদের জন্য রইল আমার অনেক শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদ।
No comments:
Post a Comment