Wednesday, November 14, 2018

তোদেরকে --- সুস্মিতা


অনু তাড়া দিয়ে চলছে লেখার জন্য, দেব দেব করে কিছু দিতে পারিনি এতদিন। বিষয়টা খুঁজে পাচ্ছি না এত দিন ধরে, সব রকম স্মৃতিচারণা করে ফেলেছে কেউ না কেউ , তবে আমি কি লিখি!

তোদের নিয়ে লিখি অনুরূপা, তোরা যারা চাঁদের আলোর দেশে ভেসে গেলি না বলেই তোরা, যাদের আর আমি কখনো ফোন করব না,কখনো যাদের নিয়ে মজা করব না আর শুধু যখন মনে পড়বে, একটু চুপ করে থাকব না হয়।

তেরো তারিখ সকালে যখন অদিতি খবরটা দিয়েছে আমি তো তখন বেড়ানোর আনন্দে মশগুল। একটা মুহূর্তে  যেন অন্য জগতে গিয়ে পড়লাম। না রে অনুরূপা তুই নস তোর ছোটো অর্নিলা' মুখটাই ভেসে উঠল সবার আগে। কদিন আগে তো হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে ওর ছবিটার দিকে তাকিয়ে তোকে মেসেজ করেছি। তুই তো জানালি সাতাশে ডিসেম্বর আসতে পারবিনা। রাগ করতে বারণ করলি,আবার বকুনি খাওয়াটা যে ভালো লাগছে সেটাও জানালি, কিন্তু আর যে কোনো দিন তোকে দেখতে পাব না সেটা বলতে পারলি না, পারিসনি, যেমন পারেনি দীপশিখা,মণীষা। আসলে আমরা কেউই পারব না, পারিনা। যেটুকু পারি তা হলো ভীষণভাবে বেঁচে থাকতে,আরো আরো কাছে ডাকতে, আঁকড়ে থাকতে, আগলে রাখতে, তাইতো বারবার ডেকেছি সবাইকে - বলেছি "দেখা চাই কিন্তু"

যে যার মত করেই আছি আমরা, যে যার মত করে থাকব। দীপশিখা যেমন থাকবে ওর হাসিখুশি শান্ত মুখটা, সবার প্রিয় স্বভাব, আবার সেই একবার স্লিভলেস ব্লাউজ পরে এসে আলোড়ন ফেলে দেওয়ার স্মৃতি সব মিলিয়ে, ছোটো খাটো মণীষা থাকবে ওর ঠাণ্ডা ধীরস্থির স্বভাব আর কোঁকড়ানো চুলের দুই বিনুনির স্মৃতি হয়ে আর তুই থাকবি তোর হাসি মুখের স্মৃতি মাখা ছবিগুলোতে। শুধু ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

অনেকেই তো ভীড় এড়িয়ে থাকতে চাইছে এখন, সংগত সেই চাওয়াটাকে সম্মান করি বলেই তাদের ভালোবেসে থাকতে দিই ওদের নিজস্ব গন্ডীতে, জানি যদি ইচ্ছা করে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরতে পারব, আর সেই যাওয়াকে এড়াবেএমন তো তারা নয়, হতেও পারবে না কোনোদিন। কিন্তু তোকে, তোদেরকে আর দেখব না কোনোদিন।

আকাশের তারা হয়ে জেগে থাক তুই, তোরা।

ভালো থাক।

No comments:

Post a Comment

স্বাগতম্

প্রিয় বন্ধুরা, হেদুয়ার   পাশ   ধরে ,  বসন্ত   কেবিনের   গা   ঘেঁষে   যে   রাস্তাটা   চলে   গেছে ,  আমার   বেওয়ারিশ   ছোটবেলাটা   সে...