বাবি ,
মানে শর্মি যখন ছোট , তখন থেকে খুব
ইচ্ছা ছিল হয় হোলি চাইল্ড না হলে লরেটো তে ভর্তি করবো । শর্মি দুটো স্কুলেই চান্স পেয়েছিলো
কিন্তু ভোটে জিতল হোলি চাইল্ড । আমার নিজের খুব ইচ্ছা ছিল লরেটো , কিন্তু বাড়ি থেকে দূরত্বের কথা মাথায় রেখে হোলি চাইল্ড এই ভর্তি করলাম
।
সেই শুরু হলো স্কুল জীবন এর …..মা / কাকিমা হিসেবে …
প্রথম দিন কেজি ১এ র লাইন এসে দেখা হয়েছিল বাবলু (ইরিনা র
মা ) আর নমিতা (মৌ পোদ্দার মা) র সাথে ....সেই নতুন বন্ধুত্বের
শুরু , নতুন পরিচিতি –শর্মি র মা “কাকিমা ”। অনেক বন্ধু হয়েছে এই সূত্রে , এখনো তাদের কারুর
কারুর সাথে যোগাযোগ আছে , কিন্তু বলা বাহুল্য নিজের স্কুল
জীবনের পরে মেয়ে র স্কুল জীবন খুব ভালো কাটিয়েছি ।
আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব হয়েছিল রুবাই , ঋতু , পারমিতা রুদ্র , মণিদীপা , মৈত্রেয়ী সিকদার , শ্রাবনী , শাশ্বতী সেনগুপ্ত , শাশ্বতী ধর , সায়ন্তনী , পূর্বাশা
, সুমনা , পারমিতা চক্রবর্তী ,
মৌমিতা মুখার্জী -এদের মা দের সাথে । সবার নাম এখন মনেও করতে পারছি না রে ….লেখা র সময় শর্মিও নেই যে মনে করিয়ে দেবে। যেদিন সব্বাই আসত স্কুল ছুটি র সময় , ভবতারনের রকে আর বসার জায়গা থাকতো না ।
রোজ বিকেলে নিতে আসা, সব মাদের সাথে আড্ডা মারা একটা নতুন উৎসাহ এনে দিয়েছিলো জীবনে। তখন সবাইকে মনে হতো আমারই মেয়ে । একটু বড় হওয়ার পরে যারা বাস এ আসত যেমন মৌ , পারমিতা রুদ্র , সুতপা , বিশাখা , দিশারী এদের মা-রা না বললেও কেমন একটা অলিখিত দায়িত্ব ছিল একটু খেয়াল রাখা যে ঠিক ঠিক বাসে উঠলো কিনা । শর্মিকে সব সময় আমি স্কুল এ দিতে আসলে খুব ঝামেলা করত ছোট্ট থেকে । ওর কাছে মনে হত মা আসা মানেই বাড়ি চলে যাওয়া । কিন্তু মাঝে মাঝে সকালে ছাড়তে আসতে হত। এই রকমই একদিন তখন তোরা ক্লাস ১ এ পড়িস, শর্মি কে ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছি , হেদুয়া র সামনে, হঠাৎ আমাকে একজন পেরেন্ট বললেন আপনার মেয়ে মনে হয় আপনার পিছনে ছুটে আসছে …বুকটা মুহূর্তে র মধ্যে উড়ে গেছিলো , এতগুলো বড় বড় রাস্তা পার হয়ে কি করে এলো ???….ঘুরে দেখি ঠিক তাই। পিছনে তাকিয়ে দেখি শর্মি ছুটে চলে আসছে আমার দিকে …স্কটিশ কলেজ এর রাস্তা টা পার হওয়ার আগে এ দেখলাম কে একটা ধরে নিল …দেখলাম পারমিতা ঘোষ এর মা ।ততক্ষন এ আমি ও পৌছে গেছি । কিছুতেই স্কুল ফেরত যাবে না . “তুমি এসেছো আমি বাড়ি যাবো ”- এই ছিল মেয়ে র আবদার । অনেক বুঝিয়ে , বিকেলে হজমির লোভ দেখিয়ে স্কুল এ পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম ....ভুলতে পারি না এখনো এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো , এখন নাতিদের গল্প বলি।
রোজ বিকেলে নিতে আসা, সব মাদের সাথে আড্ডা মারা একটা নতুন উৎসাহ এনে দিয়েছিলো জীবনে। তখন সবাইকে মনে হতো আমারই মেয়ে । একটু বড় হওয়ার পরে যারা বাস এ আসত যেমন মৌ , পারমিতা রুদ্র , সুতপা , বিশাখা , দিশারী এদের মা-রা না বললেও কেমন একটা অলিখিত দায়িত্ব ছিল একটু খেয়াল রাখা যে ঠিক ঠিক বাসে উঠলো কিনা । শর্মিকে সব সময় আমি স্কুল এ দিতে আসলে খুব ঝামেলা করত ছোট্ট থেকে । ওর কাছে মনে হত মা আসা মানেই বাড়ি চলে যাওয়া । কিন্তু মাঝে মাঝে সকালে ছাড়তে আসতে হত। এই রকমই একদিন তখন তোরা ক্লাস ১ এ পড়িস, শর্মি কে ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছি , হেদুয়া র সামনে, হঠাৎ আমাকে একজন পেরেন্ট বললেন আপনার মেয়ে মনে হয় আপনার পিছনে ছুটে আসছে …বুকটা মুহূর্তে র মধ্যে উড়ে গেছিলো , এতগুলো বড় বড় রাস্তা পার হয়ে কি করে এলো ???….ঘুরে দেখি ঠিক তাই। পিছনে তাকিয়ে দেখি শর্মি ছুটে চলে আসছে আমার দিকে …স্কটিশ কলেজ এর রাস্তা টা পার হওয়ার আগে এ দেখলাম কে একটা ধরে নিল …দেখলাম পারমিতা ঘোষ এর মা ।ততক্ষন এ আমি ও পৌছে গেছি । কিছুতেই স্কুল ফেরত যাবে না . “তুমি এসেছো আমি বাড়ি যাবো ”- এই ছিল মেয়ে র আবদার । অনেক বুঝিয়ে , বিকেলে হজমির লোভ দেখিয়ে স্কুল এ পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম ....ভুলতে পারি না এখনো এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো , এখন নাতিদের গল্প বলি।
তোরা সবাই কত্ত ছোট ছোট ছিলিস রে , আর আজ সবাই নিজেরা মা হয়ে গেছিস , তোদের ছেলে মেয়েরা কত্ত বড় বড় হয়ে গেছে , কেউ কেউ স্কুল শেষ করে ফেলেছে । ভাবতে পারি না রে তোরা ঠিক কবে এত বড় হয়ে গেলি রে । ক্লাস ১০ এর ফেয়ারওয়েলের দিন মনটা
খুব ভারাক্রান্ত ছিল , এত চেনা একটা জায়গা যেখানে রোজ আসতাম, আর আসব না , মেয়ে গুলোর সাথে দেখা হবে না , বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না ভেবে । আমাদের ও যেন ফেয়ারওয়েল হয়েছিল ওই দিন তোদের সাথে ।
তার পরে কত গুলো বছর পার হয়ে গেলো , তোরা সবাই খুব ভালো থাকে , সুস্থ থাক। শান্তিতে থাক…ছেলে মেয়েদের ভালো করে মানুষ এর মতো মানুষ কর । তবে তোদের এই বড্ড ব্যস্ত জীবন এ নিজেদের দিকে খেয়াল রাখিস , নিজেদের যত্ন করিস । সব্বাই কে অনেক অনেক আদর আর অনেক অনেক আশীর্বাদ করলাম … ইতি নীতা কাকিমা (শর্মি র মা )
No comments:
Post a Comment